অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে অ্যাডিলেডে আগামী ১৭ ডিসেম্বর (বুধবার) মাঠে নামছে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলো পেস সহায়ক হলেও অ্যাডিলেডের পিচ কিছুটা স্পিন সহায়ক হিসেবে পরিচিত। তবে এই মাঠে ইংল্যান্ডের জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচেও দলে সুযোগ পাননি ইংলিশ অফ স্পিনার শোয়েব বশির।
পার্থ ও ব্রিসবেন টেস্টে হারের পরও ইংল্যান্ড শিবিরে যে খুব বড় রদবদল আসবে না, সেটার ইঙ্গিত আগেই দিয়ে রেখেছিলেন কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ব্যাটিং ইউনিটের ওপর বরাবরই আস্থা রেখেছিলেন তিনি। তাই একাদশে একটাই পরিবর্তন এসেছে শেষ পর্যন্ত।
এদিকে, এই অ্যাশেজ সফরটা একেবারেই ভুলে যেতে চাইবেন অ্যাটকিনসন। দুই টেস্টে ৫৪ ওভার বল করে ৭৮.৬৬ গড়ে মাত্র তিন উইকেট নিয়েছেন। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বাজে পরিসংখ্যান। শুধু উইকেট নয়, গতি আর বাউন্সেও ঘাটতি চোখে পড়েছে। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তার প্রথম উইকেটটাও আসে ৪১তম ওভারের শেষ বলে।
অ্যাটকিনসনের জায়গায় দলে সুযোগ পাওয়া জশ টাং ইংল্যান্ডের কাছে এখন কন্ট্রোল ‘উইকেট টেকিং’ অপশন। ২৮ বছর বয়সী এই পেসার এখন পর্যন্ত ছয়টি টেস্ট খেলে, ৩১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। যেখানে গড় ৩০।
জশ টাং নিজের সবশেষ টেস্ট খেলেছেন ভারতের বিপক্ষে, যেখানে ১২৫ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। এটি ছিল টেস্ট ক্যারিয়ারের তার দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট শিকার। ওই সিরিজে মাত্র তিন ম্যাচ খেলে ১৯ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, অ্যাডিলেডের স্পিন সহায়ক জায়গায় স্পিনার শোয়েব বশিরের দলে জায়গা না পাওয়া বেশ অবাক করা ব্যাপারই। তবু ইংল্যান্ডের আস্থা নেই ২২ বছর বয়সী এই অফ স্পিনারের বর্তমান ফর্মে। ১৯ টেস্টে তার উইকেট ৬৮টি, গড় প্রায় ৩৯। সাম্প্রতিক প্রস্তুতি ম্যাচ আর অস্ট্রেলিয়া ‘এ’-এর বিপক্ষে ম্যাচেও তার পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক।
ব্রিসবেন টেস্টে স্পিন অপশন হিসেবে খেলেছিলেন উইল জ্যাকস। বল হাতে খুব বেশি ব্যবহার না হলেও ১১.৩ ওভারে ৩৪ রানে এক উইকেট নিয়ে কাজটা মন্দ করেননি। ব্যাট হাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। সেই ধারাবাহিকতাতেই অ্যাডিলেডেও জ্যাকসের ওপরই ভরসা রাখছে ইংল্যান্ড।
অ্যাডিলেড টেস্টের ইংল্যান্ড একাদশ-
জ্যাক ক্রোলি, বেন ডাকেট, অলিভার পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটরক্ষক), উইল জ্যাকস, ব্রাইডন কার্স, জফরা আর্চার ও জশ টাং।
খুলনা গেজেট/এনএম

